Life Science MODEL QUESTION 2012-2013
১।১ ৹ একটি নাইট্রোজেন বিহীন আম্লিক হরমোন হল- অক্সিন /
জিব্বারেলিন/ কাইনিন
২ ৹
মানবদেহে করোটিক স্নায়ুর সংখ্যা হল- ১০ জোরা /১২ জোরা / ৩১ জোরা
৩ ৹
ক্রোমোজোমের উপর জিনের অবস্থান বিন্দুকে বলে – লোকাস /ফিনোটাইপ/ আলিল
৪ ৹
ক্রসিংওভার ঘটে –অ্যামাইটোসিস
/ মিওসিস / মাইটোসিস
৫ ৹ স্বোয়ান কোষ অবস্থান করে নিউরনের ----অংশে । আ্যক্সন/ ডেন্ড্রন/ সাইন্যাপ্স ।
৬ ৹ মানবদেহের ভারসাম্যরক্ষাকারী অংশ হল—গুরুমস্তিষ্ক/ লঘুমস্তিষ্ক/ সুসুম্নাশির্ষক
৭ ৹ পর্নকান্ড হল— পরিবর্তিত কান্ড / পরিবর্তিত পত্র /পরিবর্তিত বৃন্ত।
৮৹ স্থানিয় হরমোন হল—টেস্টোস্টেরন/ থাইরক্সিন/ আ্যড্রিনালিন ।
৯৹ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের আবরনি পর্দাটির নাম কি --- প্লুরা / মেনিনজেস /পেরিকা্রডিয়াম ।
১০৹ কেবলমাত্র RNA – উপস্থিত N2 যুক্ত
ক্ষার মুলক --- ইউরাশিল/ আ্যডিনিন/ গুয়ানিন।
১১৹ মানুষের ম্যালেরিয়া রোগ ঘটায় – আদ্যপ্রানী/ ভাইরাস /ব্যাকটেরিয়া ।
১২৹ মানব দেহের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অস্থি – যা অন্তকর্নে অবস্থিত – ইনকা/ মেলিয়াস/ স্টেপিস ।
১৩৹ কোনটি জীবন্ত জীবাষ্ম নয়-পেরিপেটাস/ আরকিওপটেরিক্স/ স্ফেনোডেন।
১৪৹ অযৌন জননের একক হল – রেনু/ গ্যামেট /কোষ।
১৫৹ গমের মরিচারোগ
সৃষ্টিকারী পরজীবিটি হল --- ছত্রাক /আদ্যপ্রাণী/ব্যাক্টিরিয়া।
১৬৹ নারকেলের তরল শস্যে যে
হরমোন পাওয়া যায় তা হল—জিব্বারেলিন/ অক্সিন/ কাইনিন।
১৭৹ চিংরির রেচন অঙ্গ হল – শিখাকোষ নেফ্রিডিয়া সবুজগ্রন্থি।
উত্তর:-
০১: অক্সিন
০২: ১২ জোরা
০৩: লোকাস
০৪: মিওসিস
০৫: আ্যক্সন
০৬: লঘুমস্তিষ্ক
০৭: পরিবর্তিত কান্ড
০৮: টেস্টোস্টেরন
০৯: মেনিনজেস
১০: ইউরাশিল
১১: আদ্যপ্রানী
১২: স্টেপিস
১৩: আরকিওপটেরিক্স
১৪: রেনু
১৫: ছত্রাক
১৬: কাইনিন
১৭: সবুজগ্রন্থি
নৈর্ব্যক্তিক
প্রশ্নঃ- প্রশ্নমান ১ ১০ টি প্রশ্নের উত্তর দাও
১ ৹ ------- উদ্ভিদ কোরক্কোদগমের মাধ্যমে জনন সম্পন্ন করে । ২ ৹ পদ্মের
পত্ররন্ধ্র কেবলমাত্র ------ অবস্থিত । ৩৹ পায়রার ফুসফুসের সহিত যুক্ত ------ উড়তে
সাহায্য করে । ৪৹ বৃক্কের অবতল খাজ অংশটি হল
-------। ৫৹ মায়োলিন সীদের উপরের আবরনকে বলে ------। ৬। ------ হল একটি মিশ্র গ্রন্থি । ৭।ক্যারিওকাইনিসিসের ------ দশায় নিউক্লিয়াসের
পূনর্আবির্ভাব ঘটে। ৮।।---------- মানুষের পোষ্টিকনালীর সঙ্গে যুক্ত
একটি নিষ্ক্রিয় অঙ্গ।৯। রক্তদানের মাধ্যমে সংক্রামিত যকৃতের একটি রোগ
হল------। ১০। চ্যাপ্টাকৃমির রেচন অঙ্গ হল --------। ১১। ক্রোমোজোমের -------- অংশকে নিউক্লিওলার
অর্গানাইজার বলে। ১২। --------হল কর্নিয়ার বাহিরের রক্ষনাত্মক স্বচ্ছ
আবরন। ১৩। লঘু মস্তিষ্কে গোলার্ধ দুটি ------ নামক যোজক
দ্বারা যুক্ত ।১৪। নিউরোপ্লাজমে অবস্থিত নিউক্লিও প্রোটিন নির্মিত
দানাকে বলে-----। ১৫। পেপে গাছের তরুক্ষীরে ------- উৎসেচক থাকে।১৬। নিউরোপ্লাজমে অবস্থিত নিউক্লিওপ্রোটিন নির্মিত
দানাকে বলে---- । ১৭। মুত্রথলি ও মুত্রনালীর সংযোগস্থলে ----- নামক
পেশী থাকে। ১৮। ------- উপক্ষারটি হাপানির ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত
হয় । ৹
উত্তরঃ-
১
|
ঈস্ট
|
৪
|
হাইলাম
|
৭
|
টেলোফেজ
|
১০
|
ফ্লেম কোষ
|
১৩
|
ভারমিস
|
১৬
|
নিজল দানা
|
|||
২
|
উপরিতলে
|
৫
|
নিউরিলেমা
|
৮
|
অ্যাপেন্ডিক্স
|
১১
|
গৌণ খাঁজ
|
১৪
|
নিজল দানা
|
১৭
|
স্ফিংটার পেশি
|
|||
৩
|
বায়ুথলি
|
৬
|
অগ্নাশয়
|
৯
|
হেপাটাইটিস-B
|
১২
|
কনজাংটিভা
|
১৫
|
প্যাপাইন
|
১৮
|
ডাটুরিন
|
|||
v মানব বৃক্কের আবরণীর নাম কি? @ মানব বৃক্কের আবরণীর নাম ক্যাপসুল।
v আক্সন হিল্ক কি ? ANS- স্নায়ু
কোষের যেখান থেকে আক্সন সুরু হয় তাকে আক্সন হিল্ক বলে।
v কেঁচোর রেচন অঙ্গের নাম কি ? ANS- কেঁচোর রেচন অঙ্গের নাম নেফ্রিডিয়া ।
v এন্ডোনিউরিয়াম কি? ANS- স্নায়ুতন্তুর যোগ কলার আবরণকে এন্ডোনিউরিয়াম
বলে ।
v কোন উদ্ভিদের দেহে ফার্ন ও ব্যক্তবীজী উভয়
প্রকার উদ্ভিদের বৈশিষ্ট দেখা যায় ? উত্তর:- টেরিডোস্পারম।
v অপুংজনি পদ্ধতিতে বংশ বৃদ্ধি করে এমন একটি
প্রাণীর নাম লেখ ? ANS- মোমাছী ।
v গুরু মস্তিষ্কের হেমিস্ফেয়ার দুটির মধ্যবর্তি
যোজকটির নাম কি ? ANS- কড়পাস ক্যালোসাম।
v উদ্ভিদের নাইট্রোজেন ঘটিত রেচন
পদার্থের নাম কি ? ANS- উপক্ষার [
নিকোটিন , রেসারপিন, ডাতুরিন ইত্যাদি। ]
v কেন্দ্রীয় স্নায়ু তন্ত্রের গহবব্রে অবস্থিত
বিশেষ তরলের নাম লেখ ? CSF[ সেরিব্রো স্পাইনাল ফ্লুয়িড ]
v জিহ্বার কোন অংশে মিষ্টি স্বাদ অনুভূত হয় ? ANS-
মধ্য ভাগে মিষ্টি স্বাদ অনুভূত হয় ।
v নিউরোসিল কি ? ANS- সুষুম্না
কাণ্ডের মধ্যে যে একটি গহ্বর/নালী থাকে তাকে নিউরোসিল বলেও।
v GTH
এর সম্পূর্ণ নাম কি? ANS- গোনাডো ট্রপিক হরমোন [
Gonad Tropic Hormone ]
v উদ্ভিদের একটি নিষ্ক্রিয় অঙ্গের নাম, লিখ।
ANS- উদ্ভিদের একটি নিষ্ক্রিয়
অঙ্গের নাম ভুনিম্নস্থ কাণ্ডের শল্ক পত্র ।
v একটি উপকারী ছত্রাকের নাম লেখ। ANS- ইষ্ট একটি উপকারী ছত্রাকের
নাম ।
v কোষ চক্রের কোন ঊপদশায় DNA
সংশ্লেষ হয় । @ ইন্টার ফেজের S
উপদশায়
v ইওহিপ্পাস কোন প্রাণীর জীবাশ্ম ? ANS -ইওহিপ্পাস ঘোড়ার জীবাশ্ম ।
v একটি আদি নিউক্লিয়াস যুক্ত উপকারী জীবাণুর নাম
লেখ। ANS-
লাক্টোব্যাসিলাস ট্রাইকোডেস .।
v ভেনাস হৃদপিণ্ড কোন প্রাণীর দেখা যায় ? ANS- মাছে ভেনাস হৃদপিণ্ড দেখা যায়
v কোন গ্রন্থিকে প্রাভু গ্রন্থি বলে? ANS- পিটুইটারিকে প্রাভুগ্রন্থি বলে।
v ক্লিভেজ কি? ANS- প্রাণী কোষে সাইটোপ্লাজম বিভাজিত হওয়ার
প্রক্রিয়াকে ক্লিভেজ বলে।
v কোন প্রাণীতে বহিঃ নিষেক দেখা যায়? ANS- ক্লামাইডোমোনাসে বহিঃ নিষেক দেখা যায়।
v একটি প্রকল্পিত উদ্ভিদ হরমোনের নাম লিখ । ANS- @ ফ্লোরিজেন, রাইজোক্যালিন ।
v লিথোসিস্ট কি ?
@রবার বট গাছের পাতার কোষে ক্যালসিয়াম
কার্বনেটের আঙ্গুর গুচ্ছের মত যে কেলাস থাকে তাকে সিস্টোলিথ বলে ,আর যে কোষে থাকে
,তাকে লিথোসিস্ট বলে।
v রড ও কোন কোষে কি কি রঞ্জক থাকে ?
@ রড কোষে রোডোপসিন ও কোন
কোষে আয়োডোপসিন থাকে ।
নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও । প্রশ্নের মান 2 যে কোন ছয় টি ৬*২=১২
v বৃক্কীয় পেলভিস কাকে বলে?
@ বৃক্কের কর্টেক্স ও মেদালা যে
গহ্বর ঘিরে অবস্থান করে তাকে বৃক্কীয় পেলভিস বলা হয়।
v নিউরোহিউমার কি?
@ যে জৈব রাসায়নিক পদার্থ
সাইন্যপ্সের এক নিউরোনপ্রান্ত থেকে অপর নিউরোনেরপ্রান্তে স্নায়বিক আবেগ পরিবহন করে
তাকে নিউরোহিউমার বলে ।
v পিটুইটারি হরমোনের দুটি ব্যবহারিক প্রয়োগ উল্লেখ কর ।
@ পিটুইটারি হরমোন গুলি হল ACTH,STH.GTH, ইত্যাদি -
STH এই হরমোন মানব তথা প্রাণী দেহের স্বাভাবিক বৃধি
বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে । ACTH- এই হরমোন
মানবদেহে অ্যাড্রিনাল কর্টেক্স অংসকে উদ্দীপিত করে ক্ষরণে সহায়তা করে।
v স্নায়ুর দুটি কাজ লিখ ।
@ সংজ্ঞা বাহী স্নায়ু
উদ্দীপনা গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় স্নায়ু তন্ত্রে প্রেরণ করে । কেন্দ্রীয় স্নায়ু
তন্ত্রে থেকে আঙ্গা বহন করে কারক অঙ্গে অর্থাৎ পেশীতে নিয়ে আসে।
v ম্যালপিজিয়ান নালিকা ও ম্যালপিজিয়ান কনিকার মধ্যে পার্থক্য কি?
ম্যালপিজিয়ান নালিকা
|
ম্যালপিজিয়ান কনিকা
|
ম্যালপিজিয়ান নালিকা আরশোলা
মৌমাছি পিপড়া প্রভৃতি কীট পতঙ্গের শরীরে অবস্থিত রেচন অঙ্গ।
|
উন্নত প্রাণী দেহে বিশেষ
করে মেরুদণ্ডী প্রাণীদের বৃক্কে নেফ্রনে ম্যালপিজিয়ান কনিকা থাকে
।
|
মধ্য ও পশ্চাৎ পোস্টক নালীর সংযোগ স্থলে অবস্থিত
এবংহিমোলিম্ফের মধ্যে ভাসমান
|
নেফ্রনের অগ্রভাগে যুক্ত ও
বৃকের কর্টেক্স অঞ্চলে অবস্থিত ।
|
এগুলি রেশমি সুতোর মত ফাঁপা নালী 60-70টি থাকে ।
|
অরবুদাকৃতি , ব্যাওম্যানস
ক্যাপসুল ও গ্লোমেরুলাস নিয়ে গঠিত । মানুষের দুটি বৃকে 20 লক্ষ থাকে।
|
এগুলি হিমোলিম্ফ থেকে রেচন
পদার্থ শোষণ করে অন্ত্রের গহ্বরে মুক্ত করে ।
|
রক্ত থেকে রেচন পদার্থ
পরিস্রুত করে বৃক্কিয় নালিকায় চালনা করে ।
|
v হরমোনকে দ্বৈতনিয়ন্ত্রক বলা হয় কেন?
@ প্রাণীদেহে কোন কোন কেত্রে
কোন একটি হরমোন কোন একটি কাজে সহায়তা করে; আবার কোন একটি হরমোন ওঁই কাজে বাধা দেয়।
এজন্য হরমন কে প্রাণীদেহে দ্বৈত- নিয়ন্ত্রক- বলা হয় ।
v পৃথকিভবনের সূত্রটি বিবৃত কর ।
@ প্রথম অপত্য জনুতে উদ্ভূত
সংকর জীবের মধ্যে সঞ্চারিত জনিতৃ জনুর বিপরীত ধর্মী বৈশিষ্ট গুলির মিশ্রণ ঘটে না ;
উপরন্তু সংকর জীবগুলির মধ্যে গ্যামেট গঠনকালে বৈশিষ্ট নির্ধারক অ্যালিল দুটি
পরস্পর থেকে পৃথক হয়ে যায় ।
v ভাইরাসকে অকোষীয় বলা হয় কেন ?
@ ভাইরাসের দেহে RNA,বা DNAছারা কোন কোষীয় বস্তু থাকে না । তা ছাড়া
ভাইরাসের দেহে কোন বিপাক ক্রিয়া হয় না সেই জন্য ভাইরাসকে অকোষীয় বলা হয়।
v ভাইরাসকে জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী বলার কারন কি ?
@ ভাইরাস বহিঃকোষীয় দশায় জড়ের মত আচরণ করে। আবার অন্তঃ কোষীয় দশায় ভাইরাস
পোষকের সজীব কোষের প্রতিলিপি গঠনের
মাধ্যমে বংশ বৃদ্ধি করে সেইজন্য ভাইরাসকে জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী বলা হয়।
v রুইমাছের জলজ অভিযোজনে পটকার ভূমিকা কি ?
@মাছের
উদ্র গহ্বরে দুটি প্রকোষ্ঠ যুক্ত একটি বায়ুপটকা থাকে । সামনের প্রকোষ্ঠে
লালগ্রন্থি [red gland ] থাকে এটি গ্যাস উৎপন্ন করে বায়ুপটকা ফুলিয়ে প্লাবতা পরিবর্তন করে মাছকে
ভাসতে সাহায্য করে । পেছনের প্রকোষ্ঠে রেটিয়ামিরাবিলিয়া নামক রক্ত জালক দ্বারা
গ্যাস শোষিত হলে পটকা চুপসে যায় ও মাছ নিচের দিকে নেমে আসে । এইরুপে বায়ুপটকা
মাছকে বিভিন্ন তলে স্থিতিশীল হতে সাহায্য করে ।
v অশ্রুগ্রন্থি কিভাবে চক্ষুকে রক্ষা করে ?
@ প্রতিটি অক্ষিগোলকের অপরপ্রান্তে
উপরের পাতার সংযোগ স্থলে থলি বিশেষ থাকে , একে অশ্রু থলি বলে। এই থলি থেকে নিসৃত
তরল যাকে অশ্রু বলা হয় তা চোখ কে ভিজিয়ে রাখে যার জন্য চোখের ঘর্ষণ হয় না ,আবার এই
অশ্রু চোখের উন্মুক্ত অংশকে ধুয়ে দিয়ে জীবাণুর হাত থেকে চোখকে রক্ষা করে ।
v তরুক্ষীর ও উপক্ষারের দুটি পার্থক্য লিখ।
তরু ক্ষীর
|
উপক্ষার
|
নাইট্রোজেন বিহীন রেচন
পদার্থ ।
|
নাইট্রোজেন ঘটিত যৌগক
পদার্থ।
|
গদ রজন ইত্যাদির জলীয় মিশ্র
পদার্থ
|
প্রোটিন ভেঙে উপক্ষার
সৃষ্টি হয়।
|
জলে দ্রবনিয়
|
ইহা জলে অদ্রবণীয়। তরল ও
কঠিন। স্বাদে কষা বা তিক্ত।
|
বট, আকন্দ, রবার ইত্যাদির
কাণ্ডে থাকে
|
উদাহরণ – কুইনাইন, ক্যাফিন
|
v নিউরোগ্লিয়া কি?
@ যে বিশেষ প্রকার কলা নিউরোনের ধারক , অন্তরক ও
সুরক্ষাকারী হিসাবে কাজ করে এবং নিউরোনের মৃত্যুর পর সেই স্থান দখল করে , তাকে
নিউরোগ্লিয়া বলে ।
v পিতবিন্দু কি ?
@ মানব চোখের তারা রন্ধ্রের
বিপরীত দিকে রেটিনার ওপর অবস্থিত স্থান যেখানে সবচেয়ে ভালো প্রতিবিম্ব গঠিত হয় ,
সেই স্থানকে পিতবিন্দু বা ইয়োলো স্পট বলা হয়।
v অ্যানআইসোগ্যামি বলতে কি বোঝ?
@ বহুকোষী জীবে যে প্রকার
সিনগ্যামি তে দুটি পৃথক যৌন জননকোষ আকৃতি, প্রকৃতি ও পৃথক গুণ সম্পন্ন হয় তাকে এবং
নিষেক জনন অঙ্গের বাহিরে ঘটে তাকে অ্যানআইসোগ্যামি বা হেটারোগ্যামি বলা হয় ।এই
ক্ষেত্রে পুংগ্যামেট সচল ও স্ত্রীগ্যামেট নিশ্চল থাকে ।
v আরথিনিন চক্র বলতে কি বোঝ?
দেহের অব্যাবহৃত প্রোটিন ডি-
আমাইনেজ উৎসেচকের প্রভাবে অ্যামোনিয়ায় পরিণত হয় ।এই অ্যামোনিয়া যকৃতে আরজিনেজ
উৎসেচকের সহায়তায় যে চক্রের মাধ্যমে ইউরিয়াতে
পরিণত হয় তাকে অরনিথিন চক্র বলে।
v অ্যালিল কি?
@ ক্রোমোজোমের
একটি নির্দিষ্ট লোকাসে অবস্থিত বিপরীত বিশিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী যুগ্ম জিন বা একজোড়া
জিনের একটিকে আলিল বলে ।
v ছত্রাক ও ব্যাক্টিরিয়ার দুটি পার্থক্য লিখ ।
ছত্রাক
|
ব্যাক্টিরিয়া
|
|
ছত্রাক এক কোষী বা বহু কোষী
হতে পারে
|
আদি নিউক্লিয়াস যুক্ত কোষ
দিয়ে তৈরি
এক কোষী। |
|
অনুসুত্র বা মাইসেলিয়াম
গঠিত হয়
|
অনুসুত্র বা মাইসেলিয়াম
গঠিত হয় না
|
|
খালি চোখে দেখা যায়।
|
খালি চোখে দেখা যায় না।
|
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলী প্রশ্ন মান ৩ ১০টি
প্রশ্নের উত্তর করতে হবে
Ø ম্যলপিজিয়ান কণিকা/করপাসল বলতে কি বোঝ । ইহার কায লিখ।
@ বৃক্কের কর্টেক্স অঞ্চলে
নেফ্রনের অগ্রভাগের স্ফীত অংশকে ম্যলপিজিয়ান কণিকা/করপাসল বলে ।
ইহার বাওমেন্স অংশের কাজ
গ্লমেরুলাসের পরিস্রুত তরল সংগৃহীত হয়ে বৃকিয় নালিকায় প্রবেশ করায় । গ্লমেরুলাস অংশের কাজ- রক্তের মধ্যেকার রেচন
পদার্থকে পরিস্রুত করা ।
Ø আক্সন ও ডেনড্রনের পার্থক্য লিখ।
আক্সন
|
ডেনড্রন
|
|
সংজ্ঞা
|
স্নায়ু কোষের দীর্ঘ
প্রলম্বিত শাখা বিহীন অংশ ।
|
স্নায়ু কোষের দীর্ঘ
প্রলম্বিত বহু শাখা যুক্ত অংশ।
|
ব্যস
|
সম্পূর্ণ দীর্ঘ জুরে একই
ব্যসযুক্ত ।
|
কোষ দেহের কাছে মোটা ও তা
ক্রমশ সরু হয়ে সামনে এগিয়ে যায়।
|
কাজ
|
স্নায়বিক আবেগ নিউরনের কোষ
দেহ থেকে পেশি, গ্রন্থি বা অন্য স্নায়ুতে প্রেরণ করে।
|
গ্রাহক অঙ্গ থেকে বা অপর
নিউরন থেকে উত্যেজনা কোষ দেহে নিয়ে যায়।
|
Ø অযৌন জননের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি উল্লেখ কর।
@ অযৌন জননের সুবিধা ও
অসুবিধাগুলি-
সুবিধা
|
অসুবিধা
|
অযৌন জননে একটি জীব অংশ
গ্রহণ করে তাই কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় না
|
অযৌন জননে অপত্য জীব জনিতৃ
জীবের সম গুণ সম্পন্ন হওয়ায় অপত্য জীবেপ্রকরণের সম্ভাবনা থাকে না।
|
অযৌন জননে এক সঙ্গে অনেক
অপত্য জীব সৃষ্টি হয়
|
অপত্য জীবের প্রকরণ না
থাকায় প্রতিকুল পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজিত হতে পারে না ফলে অবলুপ্তির সম্ভাবনা
থাকে।
|
এখানে সুধু মাইটোসিস
বিভাজনের জনিতৃ জীব ও অপত্য জীব সম বিশিষ্ট সম্পন্ন হয়
|
এ জননে সৃষ্ট জীবে প্রকরণ
না থাকায় , অভিব্যাক্তি ঘটে না ।
|
বিভিন্ন জীবের বিভিন্ন অঙ্গ
অযৌন জননে অংশ গ্রহণ করে ।
|
Ø অক্সিন কিভাবে ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রন করে ?
@ অক্সিন হরমোন ট্রপিক চলন
নিয়ন্ত্রন করে
১-আলক বৃতিঃ- আলোর বিপরীত
দিকে অক্সিন হরমোন বেশী মাত্রায় সঞ্চিত হয়ে, ঐ অঞ্চলের কোষের দ্রুত বৃদ্ধি ঘতায়।
উদ্ভিদের কাণ্ড আলোর দিকে বেঁকে যায়।
২- অভিকর্ষ বৃতিঃ- মুলের
ক্ষেত্রে আলোর দিকে অক্সিন কিমি. থাকায় ওঁই অঞ্চলের কোষ দ্রুত বিভাজিত হয়। ফলে
আলোর বিপরীত দিকে বেঁকে যায়।
Ø কোষ বিভাজনের তাৎপর্য লিখ ।
@ কোষ বিভাজনের মাধ্যমে এক
কোষী কিছু জীব জনন বা বংশ বৃদ্ধি করে ।
কোষ বিভাজনের মধ্যমে উদ্ভিদ
দেহের বিভিন্ন অংশের বৃদ্ধি ঘটে। ক্ষতস্থান পূরণ হয়, নিম্ন শ্রেণির উদ্ভিদের অঙ্গজ
ও অযৌন জনন সম্পন্ন করে। প্রাণীদের অযৌন জনন সম্পন্ন হয়। উচ্চ
শ্রেণির প্রাণীদের ভ্রুনের পরিস্ফুরন, দেহের আকার আয়তন
বৃদ্ধি,দেহের ক্ষয়পূরণ প্রভৃতি হয়।
গ্যামেট গথনের মাধ্যমে জনন
কোষ উৎপন্ন হয় কোষ বিভাজনের মাধ্যমে । গ্যামেট গঠন কালে ক্রম জম সংখ্যা ধ্রুবক বা
নির্দিষ্ট থাকে কোষ বিভাজনের মাধ্যমে ।
Ø উগ্যামি বলতে কি বোঝ? ইহা কোন উদ্ভিদে দেখা যায় ?
@বহুকোষীয় জীবে যে প্রকার
সিনগ্যামিতে দুটি পৃথক যৌন জননকোষের আকার, আকৃতি, প্রকৃতি সম্পূর্ণ পৃথক হয় এবং
অন্তঃনিষেক পদ্ধতিতে গ্যামেটের মিলন ঘটে তখন তাকে উগ্যামি বলে । উন্নত সকল উদ্ভিদে
দেখা যায় ।
Ø মেন্ডেল নির্বাচিত মটর গাছের তিন জোরা বিপরীত বৈশিষ্টের উল্লেখ কর ।
@ মেন্ডেল কতৃক নির্বাচিত বিপরীত বৈশিষ্ট সমূহ -
মটর গাছের অংশ
|
প্রকট বৈশিষ্ট
|
প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট
|
কাণ্ডের দীর্ঘ
|
লম্বা
|
বেঁটে
|
বীজের আকার
|
গোল
|
কুঞ্চিত
|
বীজপত্রের বর্ণ
|
হলুদ
|
সবুজ
|
Ø ভাইরাসের তিনটি বৈশিষ্ট লেখ ।
@ ভাইরাসের সজীব বৈশিষ্ট- ১]
নিউক্লিক অ্যাসিড এবং প্রোটিন থাকে । ২] শুধু সজীব পোষক কোষে বংশ বৃদ্ধি করে । ৩]
ইহা বাধ্যতামূলক পূর্ণ পরজীবী ।ভাইরাসের জড় বৈশিষ্ট-সাইটোপ্লাজম, নিউক্লিয় বস্তু
কোষ অঙ্গাণু থাকে না ।২] কোন বাহিরের উত্তেজনায় সাড়া দিতে পারে না ।৩] ইহাদের দেহে
কোন বিপাক ক্রিয়া হয় না ।
Ø জিনোটাইপ ও ফিনোটাইপের পার্থক্য লিখ ।
জিনোটাইপ
|
ফিনোটাইপ
|
জীবদেহের জীনগত অভ্যন্তরিন বৈশিষ্ট।
|
জীবদেহের বাজ্যিক প্রকাশিত
বৈশিষ্ট।
|
সংকরায়ন পরীক্ষা দ্বারা
জিনোটাইপ নির্ণয় হয় ।
|
ফিনোটাইপ বাহিরে থেকে দেখে
নির্ণয় করা হয় ।
|
পরিবেশের সাথে জিনোটাইপের
আন্তঃ ক্রিয়া হয়।
|
পরিবেশের সাথে জিনোটাইপের
আন্তঃ ক্রিয়ার ফলে ফিনোটাইপ প্রকাশিত হয়
|
Ø ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচনবাদ---- তিনটি ত্রুটি উল্লেখ কর ।
Ø @ ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচনবাদের ত্রুটিগুলি-
১] জীবদেহে প্রকরণ বা ভেদ ঘটবার উপায় সম্পর্কে এবং তা সঞ্চালন সম্পর্কে কোন আলোচনা
করা হয় নি ।২]-জননকোষে প্রকরণ কি ভাবে হয় সে বিষয়ে কোন আলোচনা করা হয়নি ।৩]
অভিব্যাক্তিতে মিউটেশনের গুরুত্ব এই তত্বে আলোচিত হয় নি।৪]-ভউগলিক স্বতন্ত্রকরণ ও
আধুনিক জিনতত্বগত প্রমান এই সময় আলোচিত হয়নি ।
Ø নিউরন ও স্নায়ুর মধ্যে সম্পর্ক লেখ ।
@নিউরনের অ্যাক্সন হল
নার্ভতন্তু । এরুপ একাধিক নার্ভতন্তু সমান্তরাল ভাবে একত্রইত হয়ে যে রজ্জুর মতো
গঠন সৃষ্টি করে তা-ই হল নার্ভ বা স্নায়ু। এই নার্ভতন্তুর মধ্যে দিয়ে স্নায়বিক আবেগ
প্রবাহিত হয়। সুতরাং বলা যায় , নিউরন হল স্নায়ুর গঠন ও কাজের একক ।
Ø পায়রার উড্ডয়নে সহায়ক পোস্টীকতন্ত্রের অভিযোজন গুলি লিখ।
পাখীর আকাশে উড্ডয়নের জন্য
দেহ হালকা হওয়া একান্ত দরকার – সেজন্য পায়রার শরীরে কতক গুলি অঙ্গ অবলুপ্ত হয়েছে
-যেমন দাঁত নেই , পাকস্থলী নেই , পিত্তাশয় নেই । ওজন কমাবার জন্য মুত্র –জনন
তন্ত্রে পায়রার ডান ডিম্বাশয় ,ডান ডিম্ব নালী , মুত্র নালী , মলাশয় ও শিশ্ম থাকে
না ।
Ø অনাক্রম্যতাকরন কাকে বলে ? টীকা করণের মাধ্যমে
প্রতিরোধ করা যায় এমন দুটি রোগের নাম উল্লেখ কর।
@ অনাক্রম্যতাকরন- যে পদ্ধতির
সাহায্যে টিকাকরনের মাধ্যমে অ্যান্টি বডি উৎপাদন করে দেহকে কোন রোগজীবাণু প্রতিরোধী
করা হয় তাকে অনাক্রম্যতাকরন বা ইমিউনাইজেসন [ immunization] বলে ।
পলিও, হাম, হেপাটাইটিস-B
Ø বংশগতি সম্পর্কিত পরীক্ষায় মেন্ডেল মটর গাছ নির্বাচিত করেছিলেন কেন?
@ বংশগতি সম্পর্কিত পরীক্ষায়
মেন্ডেল মটর গাছ নির্বাচিত করেছিলেন কারন-
১] মটর গাছ অল্প স্থানে সহজে
চাষ করা যায়। ২] মটর গাছের জীবন চক্র অল্প দিনে শেষ হয় বলে পরীক্ষার ফল যেমন দ্রুত
পাওয়া যায় তেমন কয়েক পুরুষ ধরে পরীক্ষা করা সম্ভব । ৩] মটর গাছ উভয় লিঙ্গ হওয়ায়
স্বনিষেক ও পরানিষেক দুইই ঘটানো সম্ভব । ৪] মটর
গাছের ৭ প্রকার বিপরীত বৈশিষ্টের সমন্বয় দেখা যায় অর্থাৎ প্রকরণ অনেক রকমের হয় বলে
বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষা করা সম্ভব ।
Ø আমাইটোসিস কাকে বলে ? ইহা কোন প্রাণীতে দেখা যায় ?
@ যে কোষ বিভাজন পদ্ধতিতে
নিউক্লিয়াস ও সাইট প্লাজম সরাসরি বিভক্ত হয়ে দুই বা তার বেশী সংখ্যায় অপত্য কোষ
সৃষ্টি করে তাকেই প্রতক্ষ বিভাজন বা অ্যামাইটোসিস বলে। অ্যামিবা নামক প্রাণীর
ক্ষেত্রে দেখা যায়।
Ø হরমোনের তিনটি বৈশিষ্ট লিখ ?
@ হরমোনের বৈশিষ্ট-
ক] রাসায়নিক প্রকৃতিতে হরমোন
প্রোটিন, পেপটাইড , স্টেরয়েড , নাইট্রোজেন ঘটিত জৈব অ্যাসিড বা জৈব ক্ষার ।
খ] স্বল্প মাত্রার হরমোনই
আকাঙ্ক্ষিত প্রভাব ফেলে , কম বা বেশী ক্ষরণে অস্বাভাবিকতা সৃষ্টি করে ।
গ] হরমোন উৎস স্থল অপেক্ষা
দূরবর্তী কোন নির্দিষ্ট অঙ্গে ক্রিয়াশীল হয়।
ঘ] জীবদেহে হরমোন রাসায়নিক
বার্তাবহ রূপে কাজ করে
Ø স্নায়ুগ্রন্থির কাজ কি? অন্তরবাহী ও বহিরবাহী স্নায়ুর পার্থক্য লিখ ?
@ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের
বাহিরে কতকগুলি নিউরনের কোষদে গুলি যোগকলা পরিবৃত হয়ে যে স্ফীত গ্রন্থির সৃষ্টি
করে তা-ই স্নায়ুগ্রন্থি বা নার্ভগ্যাংলিয়ন ।
কাজ- স্নায়ু গ্রন্থি
নিউরোসিক্রেটরি পদার্থ ক্ষরণ করে নার্ভের সংগঠনে সাহায্য করে ।
অন্তরবাহী ও বহিরবাহী স্নায়ুর
পার্থক্য-
বিষয়
|
অন্তরবাহী
স্নায়ু
|
বহিরবাহী
স্নায়ু
|
আকৃতি
|
দীর্ঘ ডেনড্রাইট ও খর্ব
অ্যাক্সন নিয়ে গঠিত
|
দীর্ঘ অ্যাক্সন ও খর্ব
ডেনড্রাইট নিয়ে গঠিত
|
কোষ দেহের অবস্থান
|
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের
বাহিরেও গ্যাংলিয়ার ভিতরে থাকে
|
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের
ধুসর বস্তুর ভিতরে থাকে।
|
ডেনড্রাইটের অবস্থান
|
মুক্ত অবস্থায় রিসেপ্টরের
সাথে যুক্ত থাকে
|
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের
ধুসর বস্তুতে যুক্ত থাকে
|
সংযুক্তি
|
দেহের প্রান্তীয় ভাগ থেকে
উৎপন্ন হয়ে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে শেষ হয়েছে।
|
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র
থেকে উৎপন্ন হয়ে কারক অঙ্গে শেষ হয়েছে।
|
কাজ
|
গ্রাহক অঙ্গ থেকে স্নায়বিক
আবেগ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে নিয়ে আসে।
|
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র
থেকে স্নায়বিক আবেগ কারক অঙ্গে নিয়ে আসে।
|
Ø জীবন্ত জীবাশ্ম কাকে বলা হয়? উদাহরন দাও ।
@ জীবন্ত জীবাশ্ম- কিছু জীব
সুদূর অতীতে জন্ম গ্রহণ করলেও আজও অপরিবর্তিত অবস্থায় সীমাবদ্ধ ভৌগোলিক পরিবেশে
বেঁচে আছে অথচ সমসাময়িক জীবদের অবলুপ্তি ঘটেছে – এই সমস্ত জীবদের জীবন্ত জীবাশ্ম
বলা হয় ।
উদাহরণ- লিমুলাস, পেরিপেটাস
ইত্যাদি।
Ø সুন্দরী গাছের কাণ্ডের তিনটি অভিযোজনগত বৈশিষ্ট লিখ।
@ সুন্দরী
তথা লবণাম্বু উদ্ভিদ গুলির কাণ্ডের অভিযোজন গত বৈশিষ্ট গুলি হল-
১] সুন্দরী গাছ
গম্বুজাকার খর্বাকার ও শাখাপ্রশাখা যুক্ত।
২] এই
উদ্ভিদের কাণ্ডে সুগঠিত সংবহন কলা ও যান্ত্রিক কলা থাকে ।
৩] কাণ্ড থেকে অনেক
অস্থানিক মূল বেরিয়ে ঠেস মূল গঠন করেছে
Ø সিনগ্যমি বলতে কি বোঝ ? ইহা কত প্রকার ও কি কি?
@ বহুকোষী জীবে দুটি পৃথক
জননকোষ সম্পূর্ণ স্থায়ী ভাবে মিলিত হওয়ার পদ্ধতিকে বলে সিনগ্যামি । সিন গ্যামি তিন প্রকার ক] আইসগ্যামি, খ] অ্যানআইসগ্যামি ও গ] উগ্যামি
এইডস সংক্রমণের তিনটি লক্ষণ
উল্লেখ কর ।
এইডস সংক্রমণের লক্ষণ ১]- HIV ভাইরাসের আক্রম্ন দেহে অনাক্রমতা নষ্ট হয় বলে
বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ঘটিত রোগ দেখা যায় । ২]- দেহে অল্প জ্বর , পেট খারাপ
, চামড়ার ঘা ও দুর্বলতা দেখা যায়। ৩]- দেহের ওজন দ্রুত কমতে থাকে।
Ø DNA ও RNA এর মধ্যে
প্রভেদ কি?
@
পার্থকের বিষয়
|
DNA
|
RNA
|
নাম
|
পুরো নাম ডি অক্সি রাইবো
নিউক্লিক অ্যাসিড
|
রাইবো নিউক্লিয়াস অ্যাসিড
|
গঠন
|
দ্বিতন্ত্রী যুক্ত
|
এক তন্ত্রী যুক্ত
|
বেস
|
থাইমিন বেস থাকে
|
উরাসিল বেস থাকে
|
শর্করা
|
ডি অক্সি রাইবোজ শর্করা
থাকে।
|
রাইবোজ শর্করা থাকে।
|
কাজ
|
DNA বংশগতির
ধারক ও বাহক।
|
RNA প্রোটিন
সংশ্লেষে সাহায্য করে।
|
Ø বামনত্ব ও ক্রেটিনিজম এর মধ্যে পার্থক্য কি?
বামনত্ব
|
ক্রেটিনিজম
|
STH হরমোন কম নিঃসরণে এই রোগ
হয়
|
শিশুদের থাইরক্সিন নিঃসরণ
প্রয়োজনের তুলনায় কম হলে এই রোগ হয় ।
|
শৈশব ও যৌবনের শুরুতে হয়
|
শিশুদের হয় ।
|
দেহের বৃদ্ধি ব্যহত হয় ও
গৌণ যৌন লক্ষণ প্রকাশ পায় না
|
শিশু জড় বুদ্ধি সম্পন্ন ও
অলস প্রকৃতির হয় ।
|
Ø আরকিওপটেরিক্স – এর সরীসৃপ ও পক্ষীর তিনটি বৈশিষ্ট লিখ।
সরীসৃপ
বৈশিষ্ট
|
পক্ষীর
বৈশিষ্ট
|
চোয়াল দাঁত যুক্ত
|
দেহ পালকে আবৃত
|
অগ্রপদে নখরযুক্ত আঙুল আছে
|
চঞ্চু আছে
|
পাঁজর সরীসৃপের মত
|
দেহাকৃতি পাখির মতো ।
|
বিভাগ – খ এর প্রশ্ন
৫ টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে ৫x৫=২৫
1. চেকার বোর্ডের সাহায্যে মেন্ডেলের এক সংকর জনন পরীক্ষাটি ব্যাখ্যা কর।
জিনোটাইপ ও ফিনোটাইপ অনুপাতটি উল্লেখ কর ।
@ বিপরীত ধর্মী একটি
চারিত্রিক বিশিষ্ট বিবেচনা করে একই প্রজাতির দুটি জীবের মধ্যে যে যৌন জনন ঘটানো হয়
তাকেই একসংকর জনন বলে ।
TT
X
tt
---------------P1 জণূ
G1 T
t
Tt
---------------F1
সংকর লম্বা = হেটারোজাইগাস
G2 Tt
x
Tt ---------------P2
T
t
x
T
t ---------------F2
|
ফিনোটাইপ অনুপাত – লম্বাঃ
খর্ব = 3:1
জিনোটাইপ অনুপাত – TT:Tt:tt=
1:2:1
মেন্ডেল বিশুদ্ধ লম্বা ও বিশুদ্ধ খর্ব মটর গাছের মধ্যে ইতর পরাগ সংযোগ ঘটিয়ে প্রথম অপত্য জনুতে সব কয়টি লম্বা লক্ষণ যুক্ত মটর গাছ পান। প্রথম অপত্য জনুতে লম্বা বিশিষ্ট প্রকাশিত হওয়ায় একে প্রকট বিশিষ্ট ও খর্ব বিশিষ্ট অপ্রকাশিত থাকায় তাকে প্রচ্ছন্ন বিশিষ্ট বলে। প্রথম অপত্যে উৎপন্ন মটর গাছের মধ্যে স্ব পরাগযোগ ঘটানোর ফলে দ্বিতীয় অপত্যে যত মটর গাছ উৎপন্ন হয় তার মধ্যে লম্বা ২৫% খর্ব মটর গাছ জন্মায়। অর্থাৎ উৎপন্ন মটর গাছের প্রকাশিত বৈশিষ্ট [ ফেনোটাইপ] অনুযায়ী অনুপাত হল 75:25 বা 3:1 আর জীন
বৈশিষ্ট [ জিন টাইপ ] অনুযায়ী অনুপাত ছিল হমোজাইগাস লম্বা 25% হেতারজাইগাস লম্বা 50% ও হোমোজাইগাস খর্ব 25%
অর্থাৎ 25:50:25
বা 1:2:1
বিশুদ্ধ
লম্বা মটর গাছ TT[ diploid] কোষে লম্বা বৈশিষ্টবাহী জীন T
অ্যালিল]
বিশুদ্ধ খর্ব মটর গাছ tt [[diploid
কোষে লম্বা বৈশিষ্টবাহী জীন T
অ্যালিল]
2. রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে হরমোনের ভূমিকা পালন করে ? গ্লাইকোসুরিয়া
কি?
@ রক্তে শর্করার পরিমাণ
নিয়ন্ত্রণে হরমোনের ভূমিকা- a] অগ্নাশয়ের আইলেটস-অফ ল্যাঙ্গারহেন্সের বিটা কোষ থেকে নির্গত ইনসুলিন হরমোন এবং আলফা কোষ থেকে নির্গত গ্লুকাগন হরমোন একত্রে প্রাণীদেহে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে।
b] ইনসুলিন কোষ পর্দার ভেদ্যতা বৃদ্ধি করে পেশিকোষে গ্লুকোজ শোষণের হার বৃদ্ধি করে এবং গ্লাইকোলাইসিস পদ্ধতিতে
গ্লুকোজকে পাইরুভিক অ্যাসিডে পরিণত করে । যকৃৎ ও পেশি কোষে গ্লাইকজেনেসিস পদ্ধতিতে গ্লুকোজ থেকে গ্লাইকজেন পরিণত করে রক্তে গ্লকোজের মাত্রা হ্রাস করে ।
c] রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে
গেলে গ্লুকাগন যকৃৎ ও পেশিতে সঞ্চিত গ্লাইকোজেন কে গ্লুকোজে পরিণত করে, একে
গ্লাইকজেনোলাইসিস বলে । প্রোটিন ও ফ্যাটও নিও গ্লুকোজেনেসিস পদ্ধতিতে রক্তে
শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে। গ্লুকাগন নিও গ্লুকোজেনেসিস পদ্ধতিতেও অংশ নেয়।
গ্লাইকোসুরিয়া- রক্তে শর্করার পরিমাণ 180
mg হলে মুত্রে শর্করা নির্গত হয়।
মুত্রে শর্করা নির্গত হওয়াকে গ্লাইকোসুরিয়া [glycosuria] বলে।
3. সেন্ট্রো মিয়ারের অবস্থান অনুসারে ক্রোমোজোমের শ্রেণী বিভাগ কর?
@সেন্ট্রো মিয়ারের অবস্থান
অনুসারে ক্রোমোজোম চার প্রকার
আক্রোসেনট্রিক ক্রোমোজোম – এই প্রকারে সেন্ট্রোমিয়াঁরটি একটি প্রান্তের
নিকটবর্তি অঞ্চলে অবস্থান করে । দেখতে J এর মত।
মেটাসেনট্রিক ক্রোমোজোম
–এখানে সেন্ট্রোমিয়াঁরটি ক্রোমোজোমের মাঝামঝি থাকে । আনাফেজ দশায় ক্রোমোজোম V
আকৃতি বিশিষ্ট হয়।
সাব-মেটাসেনট্রিক ক্রোমোজোম-
এখানে সেন্ট্রোমিয়াঁরটি ক্রোমোজোমের মধ্যবর্তী অঞ্চলের একটু পাসে থাকে। আনাফেজ
দশায় ক্রোমোজোম L আকৃতি
বিশিষ্ট হয়।
টেলোসেনট্রিক ক্রোমোজোম- এই
প্রকারে সেন্ট্রো মিয়াঁরটি ক্রোমোজোমের যে কোন প্রান্তের অগ্রভাগে অবস্থান করে ।
আনাফেজ দশায় ক্রোমোজোম দণ্ডাকৃতি হয়।
4. বৃক্কীয় নালীর বিভিন্ন অংশগুলির গঠন বর্ণনা কর । ইহার কাজ কি ?
@নেফ্রনের বাওম্যান্স
ক্যাপসুলের নিচের অংশ থেকে সংগ্রাহক নালিকা পর্যন্ত বিস্তৃত নালিকে বৃকিয় নালিকা
বা রেনালতিবিউল বলা হয়। ইহার তিনটি অংশ I
I]-নিকট বর্তি সংবর্ত
নালিকা-বাওম্যান্স ক্যাপসুলের পরে
বৃক্কীয় নালীর প্যাঁচানো অংশ যা কর্টেক্স অংশে বিন্যস্ত থাকে
তাকে নিকটবর্তি সংবর্ত নালিকা বলে ।
ii] হেনলির
লুপ - নিকটবর্তি সংবর্ত নালিকা পরবর্তী U আকৃতি
অংশকে হেনলির লুপ বলে । এই
অংশটি সরু নিম্ন গামী নালী ,
সরু উরধগামি নালী ,সরু
নিম্নগামী নালী নিয়ে গঠিত ।
iii] দূরবর্তী সংবর্ত নালিকা - হেনলির লুপের পরবর্তী অংশ কর্টেক্স অঞ্চলে অবস্থিত বৃক্কীয় নালিকে দূরবর্তী সংবর্ত নালিকা বলে ।
5. সাইন্যাপ্স কাকে বলে ? ইহার কাজ কি?
মেনিনজেসের বিভিন্ন স্তরগুলির নাম লেখ?
@ দুটি স্নায়ু কোষের মাঝে যে শারীর বৃত্তীয় ফাক
থাকে তাকেই সাইন্যাপ্স বা প্রান্ত সন্নিকর্ষ বলে।
সাইন্যাপ্সের মাধ্যমে উত্তেজনা একটি নির্দিষ্ট
দিকে চালিত হয় ।সংজ্ঞাবাহী উদ্দীপনা চেস্টীয় উদ্দীপনায় পরিণত হয় ।
মেনিনজেসের বিভিন্ন স্তরগুলির
নাম-
ডুরা ম্যাটার, অ্যারাকনয়েড ম্যাটার, পিয়া ম্যাটার।
6. কৃষিক্ষেত্রে অক্সিন হরমোনের ব্যাবহারিক প্রয়োগগুলি উল্লেখ কর ।
কৃষিক্ষেত্রে অক্সিন হরমোনের
ব্যাবহার-
a] বীজহীন ফল উৎপাদন – টম্যাটো, বেগুন লাউ প্রভৃতি সবজি ও ফলকে বীজহীন করতে অক্সিন ব্যাবহার করা হয় ।
b] কলম তৈরি – ফল ও ফুলের গাছের শাখা কলমের সাহায্যে বংশ বিস্তারের জন্য অক্সিন ব্যাবহার করা হয় দ্রুত মুকুল সৃষ্টি করার জন্য।
c] আগাছা দমন – কৃষি কাজে আগাছা দমনের জন্য কৃত্রিম অক্সিন 2.4-Dব্যবহার করা হয়।
d] অকাল পতন রোধ –পাতা, ফল, ফুল, ঝরে পরা রোধ করার জন্য কৃত্রিম অক্সিন ব্যবহার করা হয়।
e] ক্ষত নিরাময়- গাছের ডালপালা
ছাটার পর ওঁই অঞ্চলের ক্ষত স্থান নিরাময়ের জন্য কৃত্রিম অক্সিন ব্যবহার করা হয়।
7. উদ্ভিদ কোষের মাইটোসিস কোষ বিভাজনের প্রফেজ দশার বৈশিষ্ট গুলি উল্লেখ কর । ক্রোমোজোমীয় চলন কি ?
@ উদ্ভিদ
কোষের মাইটোসিসে প্রফেজ দশার বৈশিষ্ট-
প্রফেজ দশায় উদ্ভিদ কোষের
মাইটোসিসে প্রথমে নিউক্লিয়াসটি আকার ও আয়তনে বড়ো হয় । এর পর জল বিয়োজনের ফলে নিউলিয় জালক বা ক্রোমাটিন সুত্র থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমোজোম সৃষ্টি হয়। পরে প্রতিটি ক্রোমোজোম লম্বা লম্বি বিভক্ত হয়ে দুটি ক্রোমাটিড গঠন করে । এরা সেন্ট্রোমিয়ার অঞ্চলে জোরায় জোরায় পরস্পরের সঙ্গে পেঁচিয়ে অবস্থান করে ।
Ii] এই পর্যায়ে নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয় পর্দা ক্রমশ বিলুপ্ত হতে থাকে।
ক্রোমোজোমীয় চলন- মাইটোসিসের আনাফেজ দশায় ক্রোমাটিড গুলি
বিচ্ছিন্ন হয়ে অপত্য ক্রোমোজোম সৃষ্টি করে, সেই অপত্য ক্রোমোজোম গুলি কোষের উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরুর দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এই চলনকে ক্রোমোজোমীয় চলন বলে।
|
8. একটি ফাজ ভাইরাসের গঠন চিত্র সহ বর্ণনা কর । ফাজ ভাইরাসের গুরুত্ব লেখ ।
@ DNA
ও RNA
যুক্ত যে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া
কোষকে ধ্বংস করে
ব্যাকটেরিয়ার দেহে বংশ বিস্তার করে তাকে ব্যাকটেরিওফাজ বা ফাজ ভাইরাস বলে।
গঠন – ব্যাকটেরিওফাজের দেহ
চারটি অংশ নিয়ে গঠিত । এগুলি হল-
মস্তক;- প্রোটিন নির্মিত
ষড়ভুজাকার ক্যাপসিড আবরণ এবং কেন্দ্রীয় নিউক্লিক অ্যাসিড
নিয়ে মস্তক গঠিত।
গ্রীবা – ছোট নলাকার এই অংশ
মস্তক ও পুচ্ছকে সংযুক্ত করে।
পুচ্ছঃ- গ্রীবার নিচে নলাকার
এই অংশটি একটি সংকোচনশীল আবরণ দিয়ে ঘেরা ।
প্রান্তফলকঃ ছয়টি স্পাইকযুক্ত
এই অংশটি পুচ্ছের সঙ্গে যুক্ত।
ফাজ ভাইরাসের গুরুত্ব- মানুষের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে ব্যাকটেরিওফাজ মানুষের উপকার করে বলে ইহাকে উপকারী ভাইরাস বলে। আজকাল কলেরা, যক্ষ্মা, টাইফয়েড ইত্যাদি রোগের নিবারনে ব্যাকটেরিওফাজ ব্যবহার করে ফাজ থেরাপি [Phase Therapy ] প্রয়োগ করা হয়।
9. অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম বলতে কি বোঝ ?
কোন জীব জীবনে কি কি প্রকার জীবন সংগ্রামের সন্মুখীন হয়
তা ব্যাখ্যা কর ।
@ অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম-
ক্রমাগত বংশ বৃদ্ধি এবং পরিমিত খাদ্য ও বাস স্থান হেতু জীব কুলের অস্তিত রক্ষায় প্রতিকুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং তারা
প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয় । একেই অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম বলে।
ডারউইন তিন প্রকার জীবন
সংগ্রামের কথা বলেছেন –
ক] অন্তঃ প্রজাতিক সংগ্রাম , খ] আন্তঃ প্রজাতিক
সংগ্রাম , গ] পরিবেশগত সংগ্রাম ।
কোন সীমিত অঞ্চলে তৃণভোজীদের
সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে তারা খাদ্যের জন্য নিজেদের মধ্যে সংগ্রামে লিপ্ত হয় এবং অচিরে দুর্বল প্রানিগুলি সবল প্রাণীগুলি দ্বারা পরাজিত হয়ে অনাহারে মারা যায় ।
আবার, সাপ খায় ব্যাঙ, ব্যাঙ
খায় পতঙ্গ, ময়ূর ব্যাঙ খায়। এরূপ খাদ্য -খাদক সম্পর্কের জন্য এক প্রজাতির সঙ্গে অন্য প্রজাতির সংগ্রাম অহরহ চলে।
10. গুরু মস্তিষ্ক ও লঘু মস্তিষ্কের দুটি কাজ লেখ। CSF এর পুরা নাম কি?
@ গুরু মস্তিষ্কের কাজ-
চাপ তাপ ব্যাথা ইত্যাদি স্পর্শ বোধ। ভঁয় আনন্দ, প্রভৃতি চেতনাবোধ। মানুষের বিভিন্ন সহজাত প্রবৃতি নিয়ন্ত্রণ করে। মানবদেহের বিভিন্ন শারীরবৃতিয় কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে।
লঘু মস্তিষ্কের কাজ- লঘু মস্তিষ্ক মানবদেহের ভারসাম্য ও দেহ ভঙ্গি
নিয়ন্ত্রণ করে ।
CSF এর পুরা নাম- সেরিব্রো স্পাইনাল ফ্লুয়িড [ Cerebro Spinal Fluid ]
11. অসম্পূর্ণ প্রকটটা বলতে কি বোঝ? ফিন টাইপ সহ পরীক্ষাটির বর্ণনা কর ।
@ প্রকট জীনের যে ধর্মের ফলে
কোন বৈশিষ্টের প্রকট জীনটি প্রচ্ছন্ন জীনের উপর সম্পূর্ণ রূপে প্রকট ধর্ম দেখায় না
। অপরপক্ষে হেটারোজাইগাস অবস্থায় মিশ্র বা মধ্যবর্তী বৈশিষ্ট প্রকাশ তাকে
অসম্পূর্ণ প্রকটতা বলা হয়।
ফিন টাইপ সহ পরীক্ষাটি
12. নিষ্ক্রিয় অঙ্গ কাকে বলে? জৈব বিবর্তনে জীবাশ্মের ভূমিকা আলোচনা কর।
@ জীবদেহের যে শব অঙ্গ এককালে পূর্ব পুরুষের দেহে সক্রিয় ছিল, কিন্তু ক্রম বিবর্তনের ফলে বর্তমান প্রজন্মে কর্মক্ষমতা হারিয়ে অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের এবং কাজহীন অঙ্গে পরিণত হয়েছে, তাদের লুপ্তপ্রায় অঙ্গ বা নিষ্ক্রিয় অঙ্গ। যেমন- মানুষের অ্যাপেন্ডিক্স।
জৈব বিবর্তনে জীবাশ্মের
ভূমিকা- জৈব বিবর্তনে জীবাশ্মের ভূমিকা হল বর্তমান ঘোড়া ইকুয়াস [৬০’’ উচ্চতা বিশিষ্ট] উৎপত্তি হয়েছে ইওসিন যুগের ইওহিপ্পাস [১১’’ উচ্চতা বিশিষ্ট] থেকে এবং এই বিবর্তন কালে তার সামনের পায়ের চারটি ও পিছনের পায়ের তিনটি আঙুল পরিবর্তিত হয়েছে।
জার্মানির ব্যাভেরিয়া প্রদেশে প্রাপ্ত ফসিল আরকিওপটেরিক্স
থেকে বোঝা যায় এরা সরীসৃপ ও পক্ষীর মধ্যবর্তি পর্যায়ের প্রাণী এবং সরীসৃপ থেকে পাখির উৎপত্তি হয়েছে ।
13. মানব দেহে রেচনে যকৃত ও ত্বকের ভূমিকা আলচনা কর ।
@ রেচনে যকৃত ভূমিকা – দেহের অব্যাবহৃত প্রোটিন ডি- আমাইনেজ উৎসেচকের প্রভাবে অ্যামোনিয়ায় পরিণত হয়। এই অ্যামোনিয়া যকৃতে আরজিনেজ উৎসেচকের সহায়তায়
অরনিথিন চক্রের মাধ্যমে ইউরিয়াতে পরিণত হয় , এবং এই ইউরিয়া রেনাল ধমনীর মাধ্যমে বৃক্কে পৌছায় এবং মূত্রের মাধ্যমে তা দেহের বাহিরে যায়।
যকৃতে হিমোগ্লোবিন ভেঙে গিয়ে
বিলিরুবিন, বিলিভারডিন , লেসিথিন উৎপন্ন করে এবং তা পিত্তরসের মাধ্যমে খুদ্রান্ত্রে আসে এবং জলের মাধ্যমে তা রেচিত হয়।
ত্বকেরভূমিকা- ত্বকে থাকা ঘর্ম গ্রন্থি ঘর্ম নিঃসরণ দ্বারা জল
খনিজ লবণ, ইউরিয়া , অ্যামোনিয়া রেচন করে। সিবেসিয়াস গ্রন্থির হাইড্রোকার্বন, ফ্যাটি অ্যাসিড, ও কলেস্টেরল সিরাম হিসেবে দেহ থেকে বেরিয়ে আসে।
Post A Comment: