Today I share some Bengali poem of Indian poet khushi sarkar. she has been written many Bengali poem. Her poems are very nice for read. So I published two poem in this post. She is an Indian poet and join as a teacher in High school (H.S.) in West Bengal area. Here I published her Bengali poem 'Pratibad' (প্রতিবাদ) and Antim Ashwas.(অন্তিম আশ্বাস)।
প্রতিবাদ
খুশী সরকার
তুমি কী ভাষা হারিয়ে ফেলেছো
আত্মগোপন আর কতকাল?কত---
কতদিন নীরবে করবে পান রক্ত গরল
ঐযে প্রকাশ্য দিবালোকে সন্মুখে তোমার
জীবনের দুরন্ত বেগ ছুটে এসে
মাঝপথে হ্ল জীবন্ত লাশ
শোণিত ধারায় সিক্ত পথের পাষাণ কায়া
টাটকা তরুণ রক্তে সৃষটি আমাজন
বারুদের গন্ধ বুক ভরে বয়ে গেল সমীরণ
তবু নিঃস্তব্ধ নিথর দেহ শেষ বারের মতো
উঠলো না কেঁপে
বইলো না শ্বাস- প্রতিবাদ
হাজার ছোখের তারায় তুমি উধাও।
বরং প্রাণের ভয়ে ভীত কাপুরুষ ।
চেয়ে চেয়ে শুধু প্রহর গোনা
পুলিশ এল
নির্জন গভীর কলরব-হীন মাঝপথ হতে
নিয়ে গেল তারে পোস্টমর্টেমের ঘরে।
তখনও তুমি চুপ, অশ্রু ঝরল না একটিবার
চুপটি মেরে আঁধার কোনে পরম আদরে
বাঁচিয়ে নিলে আপনায়, কিন্তু কতদিন
দেখবে অসময়ে ঝরে গেছে সব, নিঃশেষ।
জাগো, জাগাও তোমার ভাষাকে, নয়তো
আঁধার হতে আধারে তলিয়ে যাবে প্রাণ
আমরাও তখন জীবন্ত লাশ নবালোকে
তুমিও পাবে না রেহাই তার থেকে
সূর্যের মতই বাস্তব তুমি একদিন।
সমাপ্ত
রচনাকালঃ ৫ই ডিসেম্বর। খুশী
অন্তিম আশ্বাস
খুশী সরকার
উচু উচু পাকা বাড়ী,
উচু পাঁচিল, ঠাসা ঠাসি পাশা -পাশি।
সভ্যতার চরম প্রকাশ গায়ে আঁকা।
শৈল শহরের বুক চেরা কান্না এদের
ছুঁতে পারে না কখনও,নিস্তব্ধ।
কাতারে কাতারে মানুষের ভীর
চলন্ত ট্রেন বাঁশী বাজায়।
শব্ধহীন,প্রানহীন শবের মিছিল
বরফের শান্ত শয্যায় শায়িত,
তটিনির হাতছানি উদার করেনা
একাকী বিচ্ছিন্ন ছিন্নমূলের দল;
মাল্ভূমির অনুচ্চ বক্ষের মত
রঙ ফিকে,শীর্ন রোগাজীর্ণ
কালো পাথরেরর চাঁই রুদ্ধ,
সাবলীল স্বচ্ছ গতি মলিন,
ঝক্ঝকে সাদা রঙ উধাও
কোথায় কে জানে!
হয়তো অনাবিল তরঙ্গের খোঁজে
তার বন্ধুর পথে যাত্রা।
ফুটপাতে মুমূর্ষু প্রাণের অন্তিম আশ্বাস
একটি স্বচ্ছ সকাল।
তরঙ্গ বিক্ষুব্ধ সমুদ্রে বিম্বিত নবারুন।
--------
সমাপ্ত
প্রতিবাদ
খুশী সরকার
তুমি কী ভাষা হারিয়ে ফেলেছো
আত্মগোপন আর কতকাল?কত---
কতদিন নীরবে করবে পান রক্ত গরল
ঐযে প্রকাশ্য দিবালোকে সন্মুখে তোমার
জীবনের দুরন্ত বেগ ছুটে এসে
মাঝপথে হ্ল জীবন্ত লাশ
শোণিত ধারায় সিক্ত পথের পাষাণ কায়া
টাটকা তরুণ রক্তে সৃষটি আমাজন
বারুদের গন্ধ বুক ভরে বয়ে গেল সমীরণ
তবু নিঃস্তব্ধ নিথর দেহ শেষ বারের মতো
উঠলো না কেঁপে
বইলো না শ্বাস- প্রতিবাদ
হাজার ছোখের তারায় তুমি উধাও।
বরং প্রাণের ভয়ে ভীত কাপুরুষ ।
চেয়ে চেয়ে শুধু প্রহর গোনা
পুলিশ এল
নির্জন গভীর কলরব-হীন মাঝপথ হতে
নিয়ে গেল তারে পোস্টমর্টেমের ঘরে।
তখনও তুমি চুপ, অশ্রু ঝরল না একটিবার
চুপটি মেরে আঁধার কোনে পরম আদরে
বাঁচিয়ে নিলে আপনায়, কিন্তু কতদিন
দেখবে অসময়ে ঝরে গেছে সব, নিঃশেষ।
জাগো, জাগাও তোমার ভাষাকে, নয়তো
আঁধার হতে আধারে তলিয়ে যাবে প্রাণ
আমরাও তখন জীবন্ত লাশ নবালোকে
তুমিও পাবে না রেহাই তার থেকে
সূর্যের মতই বাস্তব তুমি একদিন।
সমাপ্ত
রচনাকালঃ ৫ই ডিসেম্বর। খুশী
অন্তিম আশ্বাস
খুশী সরকার
উচু উচু পাকা বাড়ী,
উচু পাঁচিল, ঠাসা ঠাসি পাশা -পাশি।
সভ্যতার চরম প্রকাশ গায়ে আঁকা।
শৈল শহরের বুক চেরা কান্না এদের
ছুঁতে পারে না কখনও,নিস্তব্ধ।
কাতারে কাতারে মানুষের ভীর
চলন্ত ট্রেন বাঁশী বাজায়।
শব্ধহীন,প্রানহীন শবের মিছিল
বরফের শান্ত শয্যায় শায়িত,
তটিনির হাতছানি উদার করেনা
একাকী বিচ্ছিন্ন ছিন্নমূলের দল;
মাল্ভূমির অনুচ্চ বক্ষের মত
রঙ ফিকে,শীর্ন রোগাজীর্ণ
কালো পাথরেরর চাঁই রুদ্ধ,
সাবলীল স্বচ্ছ গতি মলিন,
ঝক্ঝকে সাদা রঙ উধাও
কোথায় কে জানে!
হয়তো অনাবিল তরঙ্গের খোঁজে
তার বন্ধুর পথে যাত্রা।
ফুটপাতে মুমূর্ষু প্রাণের অন্তিম আশ্বাস
একটি স্বচ্ছ সকাল।
তরঙ্গ বিক্ষুব্ধ সমুদ্রে বিম্বিত নবারুন।
--------
সমাপ্ত
রচনাকালঃ ৫ই ডিসেম্বর। খুশী
Post A Comment: